প্রতিবেদনে ছিলেন, বি চৌধুরীঃ
মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ নৌ-যান চলাচলের কেন্দ্রবিন্দু পাটুরিয়া ১ নম্বর ও ২ নম্বর ফেরিঘাটে অবস্থিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (BIWTA) ফোরশোর এলাকা দখল করে রেখেছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের তীর মূলত পাঁচজন স্থানীয় বাসিন্দার দিকে তারা হলো আরিফ কাজী, লেবু ভাই, লিটন মোল্লা, আলমগীর এবং আওয়াল মোল্লা। তারা দীর্ঘদিন ধরে ফেরিঘাটের আশপাশের সরকারি জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাট, যা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে ঢাকার সড়ক যোগাযোগের একটি প্রধান সংযোগস্থল। এই জায়গাটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (BIWTA) সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকা সরকারি জায়গা। ফেরিঘাটে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হয়, এবং এখানে অবৈধ দখল জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সরকার হারাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আয়। এই বিষয়ে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (BIWTA) দায়িত্বপ্রাপ্ত সেলিম শেখ কে প্রশ্ন করলে তিনি জানান অবৈধ বালির গদিগুলি আমরা খুব শিগ্রই উচ্ছেদ করবো। এ বিষয়ে আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। অনুমতি পেলেই আমরা আমাদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবো।
শিবালয় উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফয়েজ বলেন, আমি এদের কে রমজান মাসে অভিজান চালিয়ে জরিমানা করেছিলাম। সরকারী রাজস্ব এর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজস্ব এর বিষয় অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (BIWTA) ব্যাপার।
ট্রেড লাইসেন্স এর বিষয়ে তিনি বলেন, যে একটি লোক ব্যবসা করার ক্ষেত্রে তার ট্রেড লাইসেন্স থাকতেই পারে এই বলেই তিনি সাংবাদিকের প্রশ্ন এরিয়ে যান।
শিবলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, যে আসলে বিষয়টি হলো পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের জায়গাটি হলো অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (BIWTA) নিয়ন্ত্রনে। আমার কাছে উচ্ছেদ এর বিষয়ে কোন সহযোগিতা চাইলে আমি সহযোগিতা করবো।
পরিবেশের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি হাইওয়ে থানা পুলিশ কে বলে ব্যাবস্থা নেবো খুব তারাতারি। ট্রেডলাইন্সেএর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন স্থায়ী স্থাপনা ছাড়া ট্রেডলাইন্সে দেওয়া যাবে না।
উচ্ছেদ এর বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে যদি (BIWTA) লিক্ষিত কোন অভিযোগ দেন আমি তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নেবো।
এভাবে চলতে থাকলে পাটুরিয়া ১নং ও ২নং ফেরিঘাটটি খুব শিগ্রই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। শত শত ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে বালু লোড আনলোড করছে । BIWTA ও প্রশাসন কে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ বালি ব্যবসা। এদের অবৈধ বালু ব্যবসার নেপথ্যে রয়েছে কারা জনগণ জানতে চায়।
জনসাধারণ আরো জানতে চান BIWTA ও প্রশাসন নিরব কেন। তাহলে কি এখানে সত্যি কারো হাত রয়েছে ( এই প্রতিবেদনটি চলমান)।
Saturday, April 12, 2025
Author: proznmo
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: