প্রতিবেদনে বেলাল চৌধুরীঃ
মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলাধীন পয়লা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড শ্রীধামনগর এলাকার পাশের নদী থেকে ইজারাকৃত স্থানে বালু উত্তোলন এর ফলে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও একটি গ্রাম,কবরস্থান ও পিচডালাই রাস্তা ইজারাকৃত জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করলে অত্র এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ পুরো গ্রাম বিলিন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
অত্র মানববন্ধনে এলাকার লোকজন বলেন,যদি এই বালু মহল থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। আমাদের গ্রাম সহ স্কুল, মাদ্রাসা, রাস্তা কিছুই থাকবে না। এই বিষয়ে আমরা এর আগেও জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে কোন সারা মিলে নি। যার কারণে আজ তারা মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছে। তারা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান, ইউএনও ও জেলা প্রশাসন যেন সরজমিনে এসে তদন্ত করে ইজারাকৃত বালু মহল টি থেকে বালু উত্তোলন করেন। যদি এবার ও প্রশাসন সরজমিনে না এসে বালু উত্তোলন করে তাহলে তারা দাবি জানান ইউনএ ও ও জেলা প্রশাসক কে অপসারণ করার জন্য। তারা হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষ যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন এই গ্রামে। এই বালু উত্তোলন করার কারণে বসতবাড়ী ও স্কুল মাদ্রাসা বিলীন হয়ে যায় তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে দাড়াবো। মানববন্ধনের খবর পেয়ে ইউএনও এলাকাবাসীর সাথে পয়লা ইউনিয়ন পরিষদে সাক্ষাৎ করে বলেন, আইন অনুযায়ী নদী সিগস্তি বালু মহলটি ইজারা দিবেন এটাই সত্যি। এতে করে কেও বাধা সৃষ্টি করতে পারবেন না। যদি বালু মহল ইজারা মালিক তার সিমানার বাহিরে যায় সেই ক্ষেত্রে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরো বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে আইনের বিভিন্ন ধারা দেখিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বক্কুর ঠাকুর ও নাহিদ ইউএন ও ইউনিয়ন পরিষদ ত্যাগ কারার পর বলেন আজকের এই বিষয়ে অত্র মানববন্ধনকারী সহ কয়েকজন সাংবাদিক কে জড়িয়ে চাঁদাবাজির মামলা দিলে সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। এর আগে বক্কর ঠাকুর ও নাহিদ অতিতে আওয়ামিলীগ হয়ে এই বালু সিন্ডিকেট এর সাথে জরিত ছিলো এখন ৫ আগস্ট এর পর বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বালু সিন্ডিকেট এর ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
0 coment rios: