স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল থেকে ফির- সারা দেশে এমপিও ভূক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াশ মাদ্রাসা শিক্ষ অধিদপ্তর কর্তৃক ১৫১৯ টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রকৃতল অবস্থান শিক্ষা-কার্যক্রম সরেজমিন তদন্ত চলমান।শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্রি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।যা অদ্য পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চলমান। উক্ত মাদ্রাসার নামে এলাকার ধর্মপ্রাণ ও শিক্ষা নুরাগী স্থানীয় ৫ ব্যাক্তি ৪০ শতাংশ ভূমি ১১/১১/১৯৮৫ দলিল নং ১৮২৪ মাদ্রাসার নামে দান করেন। সে সুবাদে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের যাবতীয় বিধি বিধান পালন সাপেক্ষে ১৯৮৫ সাল থেকে প্রথম স্বীকৃতি লাভ করে বর্তমান পর্যন্ত চলমান আছে। আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যেএ যাবত প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী টেলেন্টপুল ও সাধারণ বৃত্তি লাভ করে। সরকারি ভাবে অর্থ না পেয়েও
এখানকার শিক্ষকগণ পাঠদান চালিয়ে আসছে। বর্তমানে মাদ্রাসায় প্রায়২৫০ জন ছাত্র ছাত্রী পাঠ গ্রহণ করছে।
জানা যায় এক সময় কুচাইপট্রি ইউনিয়নটি বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। নদীমাতৃক এলাকা হওয়ায় মেঘনার শাখা নদীর দক্ষিণ প্রান্তে হিজলা উপজেলা। মাঝকার প্রায় ২০ কি. মি উত্তর প্রান্তে শরীয়তপুর জেলা সংলগ্ন হপয়ায় জনগণের দূর্ভোগ লাঘবে গোসাইরহাট উপজেলার সাথে২০০৩ সালে অন্তর্ভুক্ত করা হ্য়।তখন থেকে অত্র মাদ্রাসার প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার ঠিকানায় পরিচালিত হয়ে আসছে।
অতীব দু: খের বিষয় এ মাদ্রাসার আসল ঠিকানা গোপন রেখে হিজলা উপজেলার দরপত্তনি গ্রামে অবস্থিত মর্মে জনৈক শাহ জালাল, জসিম উদ্দীন গং ও মাধ্যমিক শিক্ষা শিক্ষা অফিসার এর যোগ সাজসে দুর্নীতির পথ অবলম্বন করে কুচাইপট্রি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নাম ধারণ করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে তালিকা প্রেরণ করেন।এ তথ্য ফাঁস হলেখবর পেয়ে মাদ্রাসাসার আসল প্রধান শিক্ষক আবদুল বাতেন ছুটে যায় হিজলা উপজেলার মাধ্যমিকশিক্ষা অফিসার মহি উদ্দিনের অফিসে। অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সত উত্তর দিতে পারেননি।
এক পর্যায়ে তিনি মাদ্রাসার কাগজ পত্র দেখতে চান গত ৮মে ২০২৫ তারিখে সকল কাগজ পত্র জমা দিয়ে মাদ্রাসার নামে একটি প্রত্যয়ন পত্র চেয়ে আবেদন করেন।
তিনি কাগজ পত্র বিশ্লেষণ করে বলেন- মাদ্রাসার সকল কাগজ পত্র সঠিক পাওয়া যায়।তাই প্রত্যয়ন পত্র দিতে কোন সমস্যা হবেনা। তবে যেহেতু উপজেলার কর্ণধার নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সাথে আলাপ শেষে যথা সময়ে প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হবে।এ আশ্বাস পেয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শরীয়তপুর থেকে নদী পথে পাড়ি দিয়ে ১০ বার আসা যাওয়া করলেও নানা অযুহাত দেখিয়ে আজও প্রত্যয়ন পত দেয়া হয়নি।ফলে ২৫০ জন ছাত্র ছাত্রীর শক্ষা কার্যক্রম যেমন- বেঘাত হচ্ছে তেমনি মাদ্রাসাটির এমপিও ভুক্তি করণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে অনেকেই বলাবলি করছে হিজলা উপজেলার মাধ্যমিক অফিসার এর ভুলের কারণে দুই উপজেলার রশি টানাটানি আর কতদিন চলবে।শিক্ষানুরাগী মহল মনে করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দিবেন বলে আশাবাদী।
0 coment rios: