প্রতিবেদনে বেলাল চৌধুরীঃ
আজ ১৫ আগস্ট—এদিন শুধু বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসে নয়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসেও এক অম্লান তারিখ। এই দিনে জন্মগ্রহণ
করেন বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আপসহীন
দেশনেত্রী, “গণতন্ত্রের মা” খ্যাত বেগম খালেদা জিয়া।
দেশের রাজনৈতিক সংকটের এই সময়ে তার ৮০তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির ১ নং সদস্য মোহাম্মদ এস
এ জিন্নাহ কবির।
তিনি এক
বার্তায় বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন,
তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের শেষ দুর্গ। ১৯৮০-এর দশকে স্বৈরাচারবিরোধী
আন্দোলন থেকে শুরু করে ৯০-এর দশকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার—প্রতিটি সংগ্রামে তিনি
ছিলেন অগ্রভাগে। তিনি বিগত শৈরাচারী দলের অবৈধ
ক্ষমতাসীনদের ষড়যন্ত্র, মিথ্যা মামলা ও কারাবন্দি জীবনের
মধ্যেও অটল সাহস নিয়ে লড়েছিলেন। এটি শুধু একটি নেত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিলো না , এটি
১৭ কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও মুক্তির বিরুদ্ধে ছিলো
যুদ্ধ।”
মোহাম্মদ এস এ জিন্নাহ কবির বলেন, “বিগত অবৈধ সরকার ২০০৯ সাল থেকে দেশকে একদলীয় বাকশালী
শাসনে ফিরিয়ে নিয়েছিলো । তারা রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি
করে ক্ষমতায় আসে, বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করতে হাজারো
নেতাকর্মীর ওপর গুলি চালিয়েছে, শত শত রাজনৈতিক হত্যা
করেছে, আর আমাদের নেত্রীকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রেখে
মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিলো । এই জুলুম-নিপীড়ন ইতিহাসে
চিরকাল কলঙ্কের দাগ হয়ে থাকবে।”
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “ যে নেত্রী জীবনের
সিংহভাগ সময় কারাগারে ও রাজনৈতিক নির্যাতনের মধ্যে কাটিয়েছেন, তার মুক্তি
মানে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুক্তি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো স্বৈরশাসকই আমাদের
পথ আটকাতে পারবে না।”
উল্লেখ্য, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বেগম জিয়া দেশের অর্থনীতি, অবকাঠামো ও শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতেও
তিনি ছিলেন দৃঢ় ও আপসহীন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলো। তবুও দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে তার অবস্থান আজও
অটুট।
0 coment rios: