প্রতিবেদনে বেলাল চৌধুরীঃ
আজ ১৫ আগস্ট, দেশের ইতিহাসে এক আপসহীন সংগ্রামী
নেত্রীর জন্মদিন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, “গণতন্ত্রের
মা” খ্যাত বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি
বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে
আসছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে
দোয়া মাহফিল, মিলাদ, অসহায়
মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার
আয়োজন করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার
জন্মদিন শুধু একজন নেত্রীর ব্যক্তিগত দিন নয়, বরং এটি
গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের এক প্রতীকী দিন।
১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট জন্ম নেওয়া বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১
সালে ২০ মার্চ দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬
ও ২০০১ সালে আবারও জনগণের রায়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু বিগত একযুগ এর
ও বেশি সময় ধরে তিনি শৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, ষড়যন্ত্র এবং
অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
২০০৮ সালে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকাকালীন মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার, ২০১৮ সালে
কারাবন্দি অবস্থা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও পরবর্তীতে গৃহবন্দি জীবন— সবকিছুই ছিল রাজনৈতিকভাবে তাকে
নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশার অংশ।
মহামারি
করোনার সময়ও তাকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়। দীর্ঘদিন বিদেশে
চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়ায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিলো । যা বিএনপির মতে
সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘন।
মানিকগন্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহব্বায়ক
মানিকগন্জ জেলা বিএনপি আফরোজা খানম রিতা বলেন "বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অদম্য প্রেরণার উৎস। শেখ হাসিনার
দমন-পীড়ন, মিথ্যা মামলা ও অমানবিক নির্যাতনও তাকে ভেঙে
দিতে পারেনি। আমরা নেত্রীর জন্মদিনে শপথ নিচ্ছি— তার নেতৃত্বেই আমরা এই দেশ থেকে শাসকগোষ্ঠীর স্বৈরশাসন থেকে
মুক্ত করেছি। মানিকগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে আজকের এই দিনটি
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের দিন।"
নেতাকর্মীরা আরো শপথ নিচ্ছেন আজ ১৫ই আগস্ট থেকে সারা বাংলাদেশে
তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে প্রতিটি ঘরে ঘরে ৩১ দফা পৌছিয়ে দেবো এবং আগামী
সংসদ নির্বাচনে ধানের র্শীষে ভোট দিয়ে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য উৎসাহ দিয়ে
যাবো।
আজ সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে নেতাকর্মীরা পোস্ট, ভিডিও ও ছবির মাধ্যমে জানাচ্ছেন
ভালোবাসা, শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
0 coment rios: