প্রতিবেদনে বেল্লাল চৌধুরী:
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক দৌলতপুর-বাচামারা জিসি রাস্তা। এই রাস্তার চেইনেজ ৬৮৫০ মিটার থেকে ৯৩৫০ মিটার পর্যন্ত পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে সরকারি অর্থ। কাজটি সম্পূর্ণভাবে নতুন সিমেন্ট কংক্রিট (সি.সি.) ব্লক দিয়ে নির্মাণের কথা থাকলেও বাস্তবে কাজটি ঘিরে উঠেছে অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আই সি এল নিন্মমানের সি.সি. ব্লক বসিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছে। এতে করে একদিকে যেমন জনগণের ভোগান্তি বাড়বে, অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিয়েও।
এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগেরবারও নিন্মমানের মানের ব্লক দিয়ে রাস্তা বানানো হয়েছিল। কিছুদিনেই নষ্ট হয়ে যায়। এবারও একই জিনিস হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে, অথচ কাজ হচ্ছে বাজে মানের।”
আরেকজন জানান, যখনই কিছু বলি, তারা বলে ঠিকঠাক কাজ করছে। কিন্তু চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে দুই নাম্বার ব্লক ব্যবহার করা হচ্ছে।”
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আই সি এল-এর মালিকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রাসেল দাবি করেন, আমরা নিয়ম মেনেই কাজ করছি। কোনো অনিয়ম হয়নি। ইউনুছ শেখ ভাই এর কাছে যান, উনি সব জানেন।”
এদিকে দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলী রাইসুল ইসলাম জানান, প্রথমে তারা নিম্নমানের ব্লক বসানোর চেষ্টা করেছিল, আমি বাধা দিয়েছি। স্পষ্টভাবে বলেছি, নতুন সি.সি. ব্লক ব্যবহার করতে হবে এবং নিম্নমানের ব্লক সরিয়ে ফেলতে হবে।”
উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করলেও এখনও সমাধান মেলেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিয়ান নুরেনের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং সরকারি অর্থ যাতে অপচয় না হয়, তা নিশ্চিত করা হোক।
0 coment rios: